যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই চলমান সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চালাবে চীনের সমুদ্র নিরাপত্তা প্রশাসন। সামগ্রিক মহড়াকে কেন্দ্র করে চীনের এই প্রশাসন টনকিন উপসাগরের কিছু যায়গায় আজ বুধবার থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। তবে কেমন হবে এই মহড়ার ধরন এই বিষয়ে খোলাসা করেননি চীন সরকার, এমনটায় জানিয়েছে রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেনের অভিষেকের পরই শনিবার মার্কিন সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমানবাহী ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট রণতরীসহ তিনটি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করে। ‘সমুদ্রে অবাধ বিচরণ’ নিশ্চিত করতেই নাকি গত শনিবার যুদ্ধজাহাজগুলো দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে , এমনটায় বলেছেন যুক্তরাষ্টের সামরিক বাহিনী। তারা অভিযোগ করেন যে এর আগে টানা দুইবার চীনের যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়ে। তবে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কর্মদিবস শুরুর পরক্ষণেই সি চিন পিংয়ের বিমানবাহিনী নতুন ভাবে এই শক্তি প্রদশর্ন শুরু করে।
সাগরটিতে মজুত প্রাকৃতিক গ্যাস ,খনিজ তেল ও বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জাহাজ চলাচলের কারণে সাগরটি ভূরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে।এছাড়া চীনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের জল সীমার বিরোধ বর্তমান এই সাগরকে কেন্দ্র করে।
এই সাগরের বেশিরভাগ এলাকায় চীন নিজেদের বলে দাবি করেন। তবে এই সাগরের উপর দাবি রয়েছে আরও কয়েকটি দেশের, তারা হলো- মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, ফিলিপাইন ও তাইওয়ান। চীন সবসময়ই অভিযোগ করে আসছে যে-বিরোধপূর্ণ এ সাগরে প্রায়ই মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। গত সোমবারে চীন অভিযোগ করে যে- প্রতিবছর ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য যেখান দিয়ে হয়, সেখানে বারংবার রণতরি আর যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চায়? এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এটি মোটেই উপযোগী নয়।
দেশ-ইনসাইডার/একে