
সংগৃহীত
অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায়। মোটরবাইক চালক শামীম সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে।
৫ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) রাতে আশার পরিবার শামীমকে প্রধান অভিযুক্ত করে মামলা করেন। এ বিষয়ে আশার মামা দুলাল জানান, মোটরবাইকের চালক শামীম আহমেদ পুলিশের সামনে তিন রকম কথা বলেছেন। তাদের ফেরার কথা ছিল কালশী রোড হয়ে কিন্তু টেকনিক্যাল মোড়ে তিনি কীভাবে গেলেন? কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোটরবাইকে থাকা অবস্থায় ট্রাকের ধাক্কায় আশা রাস্তায় পড়ে যান। তার মাথার ওপর দিয়ে ট্রাকের চাকা চলে যায়।
দুলালের অভিযোগ, তাদের সন্দেহ শামীমই নেশাজাতীয় কিছু খাইয়েছিল আশাকে। কারণ আশা সুস্থ থাকলে শামীমকে ধরে বসত। আশার রাস্তায় ছিটকে যাওয়ার পর সে আশাকে একবারও ধরেনি।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে অভিনেত্রী আশাকে দাফন করা হয়েছে। পরে রাতেই তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় মামলাটি করার। মামলার বিষয়ে দারুস সালাম জোনের সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, আশার বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। শামীম আহমেদ অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর পরিবারের ছয়-সাত বছরের পরিচিত। তাকে সন্দেহ হওয়ায় অভিনেত্রীর পরিবার শামীমকেসহ সড়ক আইনের ১০৫ ধারায় অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করেছে। তারা মূল ঘটনা উদঘাটন করে অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, চার বোনের মধ্যে আশা সবার বড়। রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে সপ্তম সেমিস্টারে পড়াশোনা করতেন তিনি। প্রায় চার বছর আগে তিনি অভিনয় জগতে আসেন। নাটকে অভিনয়, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ছাড়াও তিনি বিজ্ঞাপন ও গানের মডেল হয়েছেন। তিনি অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিতে চেয়েছিলেন।