ঐতিহ্যবাহী কমলাপুর রেলস্টেশন কিছুটা উত্তরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা দিয়েছে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট-৬ এর লাইন সম্প্রসারণ এবং মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব নির্মাণের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশন ভবনটি ভেঙে কাছাকাছি জায়গায় পুনরায় নির্মাণ করতে হবে। এ বিষয়ে একটি নতুন পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন মঙ্গলবার দুপক্ষের বৈঠক শেষে জানান, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী বর্তমান স্টেশনটি ভেঙে দেয়া হবে এবং কিছুটা উত্তর দিকে একই রকম একটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, এটি যেহেতু একটি আইকনিক স্থাপনা, তাই এটি ভেঙে ফেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কাজিমা করপোরেশনের প্রস্তাবিত নতুন পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। আমরা এই পরিকল্পনা গ্রহণ করছি, এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষা।
বৈঠকে অংশ নেয়া একজন রেল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কমলাপুর স্টেশনটি ভেঙে বর্তমান জায়গা থেকে ১৩০ মিটার উত্তরে নতুন করে তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, যদি বিদ্যমান পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয় তাহলে স্টেশনটি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট-৬ এর কাঠামোর দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে যাবে। বর্তমান পরিকল্পনাটি যদি সংশোধনও করা হয় তারপরও স্টেশনের একটি অংশ ঢাকা পরে যাবে, তাই স্টেশন অন্যত্র বানানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
কমলাপুর মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাবের সাব ওয়ার্কিং গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী কাজিমা করপোরেশনের কর্মকর্তারা গতকালের বৈঠকে রেল ভবনে নতুন পরিকল্পনাটি উত্থাপন করেন।
মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট-৬ লাইন সম্প্রসারণে দেশের প্রথম মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ ডিএমটিসিএলের নকশা নিয়ে আপত্তি রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট-৬ সম্প্রসারণের জন্য বিদ্যমান নকশা কমলাপুর স্টেশনকে মাল্টিমোডাল হাবে পরিণত করার পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটাবে।
রেলমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান এবং ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বৈঠকে অংশ নেন।