কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির ৬০ বছর পর নির্মিত নানিয়ারচরের চেঙ্গি সেতুতেই স্বপ্ন বুনছেন রাঙামাটি জেলার দুর্গম তিন উপজেলার মানুষ। চেঙ্গি নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু দিয়ে শুধু নানিয়ারচর উপজেলাতেই নয়, সহজেই যাওয়া যাবে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায়ও। পাশাপাশি খুব সহজেই সাজেকে চলে যাওয়া সম্ভব হবে। অথচ এক সময় নানিয়ারচর উপজেলা সদরে যাওয়ার মতো সরাসরি কোনও সড়ক ছিল না। নৌ পথে যেতে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন এক ঘণ্টারও কম সময়ে নানিয়ারচর সদরে সড়ক পথে যাওয়া যাবে। চলাচলের জন্য সেতুটি শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
একই সঙ্গে বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলায় সড়ক পথে যাওয়ার জন্য রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হতো। কিন্তু পার্বত্যাঞ্চলের সবচেয়ে দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ হওয়ায় তিন উপজেলার প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষ সহজেই জেলা সদরের সঙ্গে যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছেন। এই একটি সেতুতেই দুর্গম যাতায়াতের কষ্ট ঘুচছে তিন উপজেলার। তবে নানিয়ারচর থেকে লংগদু ১৮ কিলোমিটারের সড়কটি এখনও নির্মিত না হওয়ায় লংগদু ও বাঘাইছড়িবাসী সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে এর সুবিধা পাচ্ছেন না।
এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিন জানান, সড়কটি নির্মাণে সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) থেকে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিগগিরই সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।